Site icon Technology News

আঙুলের ছাপ ও আধার কার্ড দিয়ে টাকা তোলা বন্ধ করে দিলো সরকার

government has stopped withdrawing money through fingerprint

টাকা তোলা বন্ধ করে দেওয়া হল আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে। আঙ্গুলের ছাপ ও আধার দিয়ে এখন থেকে আর টাকা তুলতে পারবেন না। আপনার যেকোনো ব্যাংক এর বই থাকলে এই প্রতিবেদনটি একবার দেখে নিন। সারা দেশ জুড়ে এই নিয়ম লাগু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সব কিছু বন্ধ করে দিয়েছে। এখন তাহলে কিভাবে টাকা তুলতে সমস্ত কিছু জানা যাবে এই প্রতবেদন থেকে।

ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI) ব্যাঙ্কগুলিকে আঙুলের ছাপ দিয়ে আধার যাচাই করে টাকা তোলার ব্যবস্থা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। তারা অনলাইন পেমেন্টের বিষয়টি প্রচার করে। অতএব, আধার বা আধার সক্ষম পেমেন্ট সিস্টেম (এপিএস) ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার সুবিধাটি ‘ব্লক’ বা বন্ধ করতে হবে, NPCI নির্দেশিকা বলেছে। ব্যাংকগুলো সেটাই শুরু করেছে। অনেকেই গ্রাহকদের নোটিফিকেশন পাঠাচ্ছেন। তবে গ্রাহক ইচ্ছা করলে এই সুবিধা চালু রাখতে ব্যাংকে আবেদন করতে পারেন।

সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে যে প্রতারকরা অনেক গ্রাহকের আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য হিসাবে দেওয়া আঙুলের ছাপ চুরি করে নিচ্ছে। এরপরে তারা টাকা চুরি করতে তাদের আধার ব্যবহার করছে। এনপিসিআইয়ের দাবি, এ ধরনের প্রতারণা বন্ধ করার জন্য এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ 

ব্যাঙ্কিং সূত্রের খবর, প্রায় 90% ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আধার লিঙ্ক রয়েছে। গ্রাহকরা গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে তাদের আধার কার্ড এবং আঙুলের ছাপ দিয়ে একবারে 10,000 টাকা পর্যন্ত তুলতে পারেন। একই দিনে একাধিক বার টাকা তোলা যাবে। এই সিস্টেমটি হল ইপিএস। গ্রামে ব্যাঙ্ক বা এটিএম না থাকায় গ্রাহকরা ইপিএস সিস্টেম বা ব্যাঙ্ক মিত্রের মাধ্যমে বাড়ি থেকে টাকা তোলার পরিষেবা পেয়ে থাকেন।

সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, জমি রেজিস্ট্রেশন বা অন্য কিছু ক্ষেত্রে আধার কার্ডের মাধ্যমে পরিচয় যাচাইয়ের সময় আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়ে থাকে। হয়তো সেখান থেকে চুরি করা হচ্ছে সমস্ত তথ্য। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর, অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে অনেক কর্মী সংগঠন।সূত্রের খবর, ঘরোয়া বৈঠকে অনেক ব্যাঙ্ক কর্তা এইপিএসের ঝুঁকি মেনেছেন। ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চের নেতা সৌম্য দত্ত, “ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করার কোনও আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। তারপরও ব্যাংকগুলো আমাদের তা করতে বাধ্য করছে। সেই সুযোগে প্রতারণা বাড়ছে। তবে আমি এইপিএস বন্ধ করার পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।

অল ইন্ডিয়া ন্যাশনালাইজড ব্যাঙ্ক অফিসার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, সঞ্জয় দাস বলেন, এইপিএস সকলের কাছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলিকে সহজলভ্য করতে সাহায্য করেছে। কিন্তু এটা বন্ধ করা দরকার ছিল। এতে অনেকেই প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

আরও পড়ুনঃ 

Exit mobile version